চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পৃথক ৮টি অভিযানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামী, ৮ ডাকাত, এক ভাড়াটে শুটারসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় এক লাখ ইয়াবা, দু’টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ছয়টি কার্তুজসহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্রসস্ত্র। এছাড়া একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে জব্দ করা হয়েছে চোরাচালানে আসা ছয় শতাধিক ভারতীয় পোশাক ও বিপুল পরিমান ওষুধ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এসব অভিযান চলে। অভিযান নিয়ে বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, ঈদকে সামনে রেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ এ অভিযানগুলো পরিচালিত হয়। অভিযানে হাটহাজারী থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সক্রিয় এক ডাকাতদলের ৮ সদস্যকে অস্ত্রসশস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র্যাব। তবে এ দলের ২ থেকে ৩ জন সদস্য পালিয়ে যায়। প্রায় একইসময় সীতাকুণ্ডে একটি কাভার্ড থেকে চোরাই পথে আসা পোশাক ও ওষুধগুলো জব্দ করা হয়। তবে চোরাচালানকারীদের ধরতে পারেনি র্যাব সদস্যরা। এদিকে, কক্সবাজারে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে আশাবাদী বক্তব্য দেয়ায় চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ইউনুছ হোসাইন মানিককে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া, অভিযানে ফটিকছড়ির ভুজপুরে আটমাসের অন্তস্বত্ত্বাকে পৈশাচিকভাবে হত্যার দায়ে স্বামী মোহাম্মদ সুমন, বাংলাদেশী পরিচয়ে জুতা কারখানায় চাকুরির আড়ালে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে নুর হোসেন নামে এক রোহিঙ্গা, সাতকানিয়ায় ইউপি নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনায় ভাড়াটে শুট্যার মিজানুর রহমান, সীতাকুন্ডে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাউদ সম্রাট হত্যায় মামুন ও নুরুল হুদা নামে দুই জন এবং একই এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চার প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম করায় ইমাম হোসেন নামে ১ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা।