সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দুই ইউনিয়নের পৃথক দুই বিলের প্রায় ১৮০০ বিঘা আবাদি জমি তিন বছর ধরে জলাবদ্ধতার শিকার।পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় গত তিন বছর ধরে এ অবস্থা চলছে।
এলাকার কৃষকরা জানান, জলাবদ্ধতার কারণে সঠিক সময়ে ফসলের আবাদ করতে পারেন না তাঁরা। চতরার বিল বলে পরিচিত আবাদি মাঠের জমি এখন এক ফসলি।
এলাকার কৃষকরা আরো জানান, গত কয়েক বছরে পানি বের হওয়ার সেসব পথে বসতবাড়ি এবং বিভিন্ন কাজে মাটি ভরাট করে উঁচু করা হয়েছে। এ কারণে বিলটির আবাদি জমি থেকে সহজে পানি বের হতে না পারায় শুকনো মৌসুমেও জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকছে। গত এক বছর ধরে জলাবদ্ধতা আরো বেশি সময় ধরে থাকছে।
সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক আকবর আলীসহ অনেকেই জানান, গত বছর বোরো ধান আবাদে পানির মধ্যেই চারা লাগানো হয়েছিল। বৃষ্টি হলেই তা ডুবে যেত। অন্য ফসলের আবাদ করা যায়নি। বোরো ধান আবাদও সুষ্ঠুভাবে করা যায়নি। এবার সমস্যা আরো বেশি।
ভাগলপুর গ্রামের কৃষক মোকবুল হোসেন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে বোরো ধান ফসলের আবাদ তাঁদেরকে দেরিতে করতে হচ্ছে। আবার নিচু অনেক জমিতে সে ধানের আবাদ করা যায় না।
বিএডিসি উল্লাপাড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, ‘গত ৬ নভেম্বর বড়হর ইউনিয়নের চতরার বিলের হাল অবস্থা জলাবদ্ধতার শিকার হওয়া জমি বিএডিসি সিরাজগঞ্জের সেচ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ আলম সরেজমিনে দেখেছেন। এলাকার কৃষকদের নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। তিনিও সঙ্গে ছিলেন। চতরার বিলের জলাবদ্ধতার অবসানে পানি নিষ্কাশনে ভু গর্ভস্থ ড্রেন নির্মাণের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।’
এছাড়া কয়রা ইউনিয়নের মাঠ দুটি সরেজমিনে দেখে পানি নিষ্কাশনে স্থায়ী ব্যবস্থায় ড্রেন নির্মাণ ও খাল খননে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান প্রকৌশলী জাহিদ।