সৌন্দর্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে খালাতো বোনকে এসিড নিক্ষেপের চাঞ্চল্যকর মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ২০১০ সালে ঘুমন্ত মুনতাহা ও তাসনিমকে এসিড নিক্ষেপে ঝলসে দেয় ফারজানা ও ইফতেখার দুই খালাতো ভাইবোন মিলে। দীর্ঘ ১২ বছর পর দোষী প্রমানিত হওয়ায় সোমবার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নার্গিস আক্তার তাদের এ আদেশ দেন।
এদিকে আরেকটি মামলায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়ায় প্রেমের বিরোধের জের ধরে এক যুবককে এসিডে ঝলসে দেয়ার অভিযোগে মা ও মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আরকটি আদালত।
ফারজানার চেয়ে সুন্দর ও রূপবতী খালাতো বোন মুনতাহা। ছোট মুনতাহার বিয়েও ঠিক এক প্রভাষকের সাথে। এতে ইর্ষান্বিত হয়ে খালাতো বোনকে এসিড নিক্ষেপের পরিকল্পনা ফারজানা ও তার ছোটভাইয়ের…
২০১০ সালের দুই অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর
পাচলাইশের জয়নগর আবাসিকে রাতে ঘুৃমন্ত দুই খালাতো বোন মুনতাহা ও তাসনিমকে এসিড নিক্ষেপে ঝলসে দেয় ফারজানা। সন্দেহমুক্ত হতে নিজের মুখেও কিছুটা ছিটায় এসিড। পরে পুলিশের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে উদঘাটিত হয় ঘটনার আসল রহস্য। দীর্ঘ ১২ বছর আইনী প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমানিত হয় দুই ভাই-বোন। বুধবার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আদেশ দেন।
এদিকে সর্বোচ্চ শাস্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন
মুনতাহা ও তাসনিমের পরিবার। এসিড সন্তাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার দাবি তাদের।
এদিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়ায় প্রেমের বিরোধের জের ধরে এক নুরুল আবছারকে এসিডে ঝলসে দেয় মোস্তফা বেগম। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জ এ মামলায় মা ও মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুই জন আসামী পলাতক রেয়েছে।
এসিড নিক্ষেপে পাচলাইশের মামলায় ২২ জন আর রাঙ্গুনিয়ার মামলায় সমাক্ষ্য গ্রহন নেয়া হয় ১০ জনের।