নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী মিজানুর রহমান ওরফে বাদলের সমর্থক ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গতকাল শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এসআই নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
জানতে চাইলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার। শনিবার সকাল নয়টার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ওপর বসুরহাটের নিত্যন্দন মোড় এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে মিজানুরের অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ সরিয়ে দিতে গেলে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ১৩ জনকে। প্রধান আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম ওরফে সবুজ। এ ছাড়া বাকি ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুরের সমর্থক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তবে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত পুলিশ এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মিজানুর রহমানের অনুসারীদের অভিযোগ, সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে তাঁর অনুসারীরা ওই হামলা চালিয়েছেন। হামলাকারীরা মিজানুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন। একই সময় মিজানুরের সঙ্গে থাকা সাবেক ছাত্রলীগের নেতা হাসিবুল হোসেনকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
তবে আবদুল কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে ওই হামলার ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং আগের একটি হামলার ঘটনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পাল্টা হামলা চালাতে পারেন বলে উল্লেখ করেন।
হামলায় গুরুতর আহত মিজানুর রহমানকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হামলায় মিজানুর রহমানের দুই পা ও বুকের হাড় ভেঙে যায় এবং বাঁ কান কেটে যায় বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ জানিয়েছেন।