চট্টগ্রামে কলকারখানায় স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৬৫ হাজার শ্রমিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার সকাল থেকে নগরীর চারটি কারখানায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ভ্যাকসিন দেওয়ার এই আয়োজনকে ঘিরে অনেকটা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোতে।
শনিবার প্রথমধাপে চট্টগ্রামের ৭টি কারখানায় ৬৫ হাজার তিনশ শ্রমিকের জন্য করোনা ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্যবিভাগ। এসব কারখানাগুলোতে আগেই ভ্যাকসিন প্রদানে উপযোগী বুথ প্রস্তুত ও টিকা প্রয়োগকারীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। রোববার সকাল থেকে বিজিএমইএ ও চুয়েট ছাড়া বাকি কারখানাগুলোতে শুরু হয় ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম। ভোগান্তি ছাড়া কর্মস্থলে সহজে ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি শ্রমিকরা। কারখানা সংশ্লিষ্টরা বলছে কাজে কিছুটা ক্ষতি হলেও কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার দারুণ সুরক্ষা বলয় তৈরি হতে চলেছে। এদিকে চট্টগ্রামে অন্তত দুইহাজার বস্তিবাসিকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার বিকেলে নগরীর ঝাউতলা ছিন্নমূল বস্তিতে চারদিনব্যাপী এই কার্যক্রমের শুরু করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠিকে করোনা মুক্ত রাখতে, যারা এতদিন করোনার ভ্যাক্সিন দিতে পারেননি তাদের জন্য এই কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। আপাতত দুই হাজার বস্তিবাসিকে এই সেবা দেয়া হলেও পর্যায়ক্রমে সব বস্তিবাসীকেই এই কর্মসুচির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তারা। দেরিতে হলেও স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে এসব ভ্যাকসিন দিতে পেরে বেশ খুশী খেটা খাওয়া এসব মানুষ। আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর এই বস্তিতে দেয়া হবে টিকা।