রেলে ভ্রমন নিরাপদ করতে বীট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির কাজ শুরু করেছে রেল পুলিশ। এ প্রেক্ষাপটে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় সমাবেশ করছে রেল পুলিশের বড় কর্তারা। এসব সমাবেশ থেকে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থায় রেলে পাথর ছোঁড়া, চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে আসবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
সাম্প্রতিক সময়ে রেল ভ্রমনে অন্যতম আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা। এতে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা প্রায়শই আহত হচ্ছেন, প্রাণও যাচ্ছে অনেকের। রেল লাইনের পাশে লুকিয়ে থাকা দুবৃর্ত্তরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। এদের বেশিরভাগই মাদকসেবী ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। তবে হাতেনাতে ধরা যায় না বলে এদের শাস্তির আওতায় আনাও কঠিন। কেউ কেউ বলছে জনপ্রিয় বাহন রেলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব অপরাধ ঘটাচ্ছে।
এসব নিয়ন্ত্রনে রেল লাইনের আশেপাশে বসবাসকারী লোকজন, জনপ্রতিনিধি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে যাত্রীরা। পাশাপাশি বাড়াতে হবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারি।
পুর্বাঞ্চল রেলের বিভিন্ন রুটে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় গেলো ৯ মাসে ১১০টি ঘটনায় আহত হয়েছে ২৯ যাত্রী, কাঁচ ভেঙেছে শতাধিক জানালার। চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি স্পট। এসব স্পটে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে রেল পুলিশ।
রেল পুলিশ বলছে- শুধু পাথর নিক্ষেপ নয়, ট্রেনে চোরাচালান, চেইনপুলিং, ছাদে ভ্রমনসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রনে এবার বিশেষ কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে তাঁরা।
রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।