রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. ইউনুছ মনিকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ মে) সকাল ১১টার দিকে শিলক ইউনিয়নের নটুয়ার টিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
গ্রেফতার ইউনুছ মনি উপজেলার কোদালা সেনবাড়ি এলাকার মৃত নূর হোসেনের ছেলে। তিনি যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্যাডার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নেতা মৃত মাওলানা ইসহাক নূরের ছোট ভাই।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. ইউনুছ মনিকে গ্রেফতার করতে দুর্গম পাহাড়ে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করতে হয়েছে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ। যতবার অভিযানে যাই, পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়। অবশেষে আজ (সোমবার) সকালে পাহাড়ে পলায়নরত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক আইনে বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। মিছিলে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও যোগ দেয়। মিছিলের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা ইউনুছ মনি। মিছিলটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে পূর্ব কোদালা ৬ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত যায়। পরে ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল থেকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় যুবলীগ নেতা আবদুল জব্বার, দিলদার আজম লিটন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহকে।
আওযামীলীগ নেতা মুহিবুল্লাহর মাথায় আঘাত করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নগরের পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয় রাঙ্গুনিয়া থানায়। মামলা দুটিতে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও হেফাজত সমর্থক ৬৪ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়। দুটি মামলাতেই উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুছ মনিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।