শীতের সবজিতে ত্বকের দাওয়াই
শীতকালে প্রচুর শাক-সবজি পাওয়া যায়। এ সময় বেশি বেশি রঙিন শাক-সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। শীতে সাধারণত পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। আবার পরিবেশ আমাদের ত্বক থেকে আর্দ্রতা টেনে নেয়। এতে ভিতর-বাহির উভয় দিক থেকেই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এই পানির অভাব পূরণ করে শাক-সবজি। এ ছাড়া শীতকালীন শাক-সবজিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শীতে ত্বকের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ত্বক পরিষ্কার রাখুন
শীতেও নিয়ম করে প্রতিদিন গোসল করুন। ঠাণ্ডা পানিতে কষ্ট হলে গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। তবে বেশি গরম পানি মুখে ও মাথায় লাগাবেন না। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের স্পর্শকাতর ত্বকের ফলিকলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে। দিনে কয়েকবার হাত, মুখ ও পা ধোয়াও জরুরি। মুখ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বেশি ক্ষারযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। শীত ও ধুলাবালি থেকে বাঁচতে এ সময় হাত-পায়ে মোজা পরতে পারেন। শীতের রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে গ্লিসারিন মেখে ঘুমান। পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
শীতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার
অনেকেই হয়তো মনে করেন সানস্ক্রিন শুধু গরমকালে ব্যবহার করতে হয়। এই ধারণা ভুল। শীতে রোদ আরামদায়ক হলেও ত্বকের ওপর এর অতিবেগুনি রশ্মি বিরূপ প্রভাব ফেলে। শীতে রোদ যতই আরামদায়ক হোক, সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার আধঘণ্টা আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। তবে আরো ভালো হয় ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে। এটা সম্ভব না হলে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে সানস্ক্রিন ক্রিম মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়ম মেনে লোশন লাগান
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে কোমলতা এনে দিতে ভালো উপকার দেয় প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ লোশন। গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ত্বক ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন।
দিনে বা রাতে যেকোনো সময় লোশন ব্যবহার করা যায়। অনেকেই মনে করেন ত্বক শুষ্ক কিংবা রুক্ষ হয়ে উঠলে তবেই লোশন ব্যবহার করতে হয়। এই ধারণা ভুল। তবে আর্দ্র ত্বকে লোশন ব্যবহারে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এ জন্য গোসলের পর শরীর মুছে সারা গায়ে লোশন মাখতে পারেন।
আবার রাতে ঘুমানোর আগে হাত-মুখ ধুয়ে লোশন মেখে নিন।২৪ ঘণ্টা শুষ্কতা থেকে রেহাই পাবে আপনার ত্বক।