জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারের শামিমা কালাম মাতৃনিবাস থেকে অভিজিৎ ঘোষ (২২) নামে এই যুবককে আটক করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার নোবেল চাকমা গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার অভিজিৎ ঘোষ চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদন্ডী আশীষ কুমার ঘোষের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অভিজিৎ ঘোষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এসএমএস আদান প্রদানের মাধ্যমে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে মামলার ২ নম্বর আসামি সত্যজিৎ দাশ শুভ (২৮) ধর্ষণকারী অভিজিৎ ঘোষকে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলে পরিচয় করিয়ে দেন।
পরিচয়ের পর একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অভিজিৎ। এ সময় নিজেকে সে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ ক্যাডারে চান্স পেয়েছেন বলে ছাত্রীকে জানান। এ ছাড়া তাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনের প্রভাষক পদে যোগদান করার জন্য ইমেইলে বার্তা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান। সর্বশেষ তিনি জানান, ১২তম ব্যাচে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার বাবা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও মা শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা বলেও পরিচয় দেন।
কোতোয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, আসামি সত্যজিৎ দাশ শুভ’র সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে ওই শিক্ষার্থীকে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন অভিজিৎ। তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে পঞ্চাশ টাকা মূল্যমানের দুটি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জাল স্বাক্ষর করে ও ভুয়া বিয়ের হলফনামা তৈরি করে একটি ফটোকপি তরুণীকে দেন এবং তাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আসামির বিরুদ্ধে থানায় নারী শিশু আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।