নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার সেজান জুস কারখানায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক নিহত ও অসংখ্য আহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার নেতৃবৃন্দ।এক বিবৃতিতে নেতারা হতাহতদের যথাযথ তালিকা প্রকাশ করে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
শোক বার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয় এবং দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
ক্লাবের সভাপতি মনির বিন আমজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমাদুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ফারুক, সহ-সভাপতি আশরাফুল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিরণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরিফুজ্জামান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামানসহ প্রেস ক্লাবের নেতারা সেজান জুস কর্তৃপক্ষের নিয়মনীতির কঠোর সমালোচনা করেন।সভাপতি মনির বিন আমজাদ বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ভবনে কোনো ফায়ার এক্সিট ছিল না এবং মূল গেট বন্ধ ছিল। সেখানে কাজ করতেন প্রায় দুইশতাধিক শ্রমিক, যাদের মধ্যে অর্ধশতকের বেশি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয় সেখানে অনুপস্থিত ছিল। শ্রমিকদের জীবন হুমকিতে রেখে মালিকপক্ষ সেখানে লাভবান হওয়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছে। কাজেই হতাহত শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও তাদের ক্ষতিপূরণ বুঝে পেতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমাদুল কবির বলেন, জনজীবন যেখানে আজ বিপন্ন, সাধারণ মানুষ যেখানে একটি হাহাকার পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন, ঠিক সে মুহূর্তে অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকদের অসহায় পরিবারগুলোর আর্তনাদে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। একদিকে সরকারের জারি করা লকডাউন অন্যদিকে অসহায় মানুষগুলোকে পরিবারের খাবার জোগাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে হচ্ছে। সে মানুষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কাজেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায়ভার সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। সুতরাং, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার বিচারবিভাগীয় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
Leave a Reply