চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রয়াত সামশুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (৫০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মাঈনুদ্দীন মো. মাইনু (২৯)। তিনি সামশুল আলম মাস্টারের মেজ ছেলে। গ্রেপ্তারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে র্যাব। চট্টগ্রাম র্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছেলের সন্দেহ ছিল মা সব সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশ পাড়ি দিবে। তা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করে ছেলে। ঘটনার ২ দিন পর ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে ঘাতক ছেলে মাইনুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তল। দুপুরে র্যাব ৭ এর চাঁন্দগাও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অধিনায়ক লে.কর্ণেল এম এ ইউসুফ জানান গত মঙ্গলবার দুপুরে মা ও বোনের সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নিজের সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে প্রথমে বোনকে গুলি করলে মিস ফায়ার হয়। পরে মা জেসমিন আক্তারকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি বাবার মৃত্যুর পর সম্পদ নিয়ে মা ও বোনের সাথে বিরোধে দেখা দেয় তার।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সামশুল আলমের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও মেয়ে শায়লা শারমিন ব্যাংক থেকে সামশুলের রেখে যাওয়া টাকা তুলতে গেলে মাঈনুদ্দীন ক্ষুব্ধ হন। এ সময় মাঈনুদ্দীন প্রথমে বোন শায়লাকে গুলি করেন এবং পরে মা জেসমিনকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। প্রথম গুলিটি ফসকে গেলেও দ্বিতীয় গুলিটি জেসমিনের চোখের নিচে লাগে। পরে মাঈনুদ্দীন সেখান থেকে সটকে পড়েন।
গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন জেসমিন আক্তারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে পটিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে শায়লা শারমিন বাদী হয়ে ভাই মাঈনুদ্দীনকে আসামি করে পটিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন । ঘাতক ভাইয়ের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চান তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই জাপা নেতা ও সাবেক মেয়র সামশুল আলম মাস্টার মারা যান। এর এক মাস পরই এ ঘটনা ঘটল।