তিতাস নদীর লইস্কার বিলে বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে যায় যাত্রীবাহী ট্রলার। ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাঁতরে অনেকে তীরে পৌঁছতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। উদ্ধার অভিযান চলছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। নৌ-দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় আশপাশে কোনো নৌকা না থাকায় বেশ দূর থেকে লোকজন এসে প্রথমে উদ্ধার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। নিহত ২১ জনের মধ্যে সাত শিশু, এক তরুণ ও দশ নারী রয়েছেন। চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- বিজয়নগরের আজমপুরের শীলবাড়ির পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস, জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম, চম্পকনগরের মিনারা বেগম
সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ মিয়ার আট বছরের ছেলে তানভীর। আহতদের মধ্যে আটজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন হলেন- আইয়ুব মিয়া, ইব্রাহিম, আহমদউল্লাহ, মুরাদ মিয়া, তানজির ও ফারুক মিয়া।