ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপহরন পূর্বক আটক করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ০৪ জন সদস্য গ্রেফতার। মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের ফাঁদ পেতে অপহরণ করে বিকাশের মাধ্যমে এক ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট থেকে ২ লক্ষ মুক্তিপন আদায় করেছে অপহরনকারী চক্র।
গত ২৮/০২/২০২১ইং তারিখে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের হালিশহর ব্রাঞ্চের সিনিয়র অফিসার শামীম হাসান (৩৭)কে তার পরিচিত এক ক্লায়েন্ট অজ্ঞাতনামা এক তরুনীর মোবাইল নাম্বার কথা বলে সম্পর্ক তৈরি করার জন্য দেয়। উক্ত নাম্বারে ঐ মেয়ের সাথে গত ২৮/০২/২০২১ ইং হইতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তা শামীম হাসান (৩৭) কথা বার্তা বলেন।
একপর্যায়ে ঐ তরুনীর সাথে তার একটি ভালো সর্ম্পক তৈরী হয়। তারই ফলশ্রæতিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে গত ০৫/০৩/২০২১ইং তারিখ বিকাল বেলা অজ্ঞাতনামা তরুনীর বাসায় যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। অজ্ঞাতনামা তরুনীর কথামত ব্যাংক কর্মকর্তা গত ০৫/০৩/২০২১ইং তারিখ অনুমান ০৪.১৫ ঘটিকার সময় সিএনজি অটোরিক্সা যোগে রাহাত্তরপুল পৌছে অজ্ঞাত নামা তরুনীকে ফোন করলে সে তার পরিচিত মোঃ রায়হান (২৮) নামে এক যুবককে বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তরপুল পাঠিয়ে তার সাথে অজ্ঞাতনামা তরুনীর বাসায় যেতে বলে।
মোঃ রায়হান (২৮) এর কথামত ঐমেয়ের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকার সময় বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তরপুল চান্দাপুকুরস্থ বিসমিল্লাহ টাওয়ারের পিছনে খালি জায়গায় পৌছলে সেখানে পূর্ব থেকে উপস্থিত থাকা আসামীগন মোঃ শহিদ আলম লেদু (৩০), মোঃ হেলাল উদ্দীন এরশাদ (৩০), মানিক প্রঃ কেচো মানিক (৩২),মোঃ সালাউদ্দিন প্রঃ মাইকেল (২৯),মোঃ গিয়াস উদ্দীন (২৯), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩০),হিরু (২৭),অনিক(২৬) ব্যাংক কর্মকর্তা শামীম হাসান (৩৭) কে ঘিরে ধরে এবং অজ্ঞাতনামা তরুনীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করতে এসেছে বলে অপবাদ দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল শুরু করে। ঐ তরুনীর সাথে অবৈধ সর্ম্পক আছে বলে স্থানীয় লোকজন জড়ো করে হেনস্থা করার হুমকি দেয় এবং মেয়ে সহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ০২ লক্ষ টাকা দাবী করে।
এতে আমি রাজী না আসামীরা ছোরা ও অস্ত্র বের করে ব্যাংক কর্মকর্তা শামীম হাসান (৩৭) এর বুকে ও পেটে ঠেকিয়ে টাকা না দিলে প্রানে হত্যা করিবে বলে হুমকি দেয়। তখন তিনি প্রাণভয়ে উপায়ন্তুর না দেখে তার ছোট ভাইকে ফোনে বিপদের কথা বলে ০২ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলে।
তার কথামত ব্যাংক কর্মকর্তার ছোট ভাই সাইদুর রশিদ (২৪) আসামীদের দেওয়া কয়েকটি নাম্বারে ধাপে ধাপে মোট ২,০০,০০০/- টাকা বিকাশে প্রেরণ করে। টাকা প্রাপ্তির পর আসামীরা যে যার মতো চলে যায়। ভিকটিম ব্যাংক কর্মকর্তা শামীম হাসান (৩৭) এর অভিযোগের ভিত্তিতে বাকলিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর মাননীয় উপ-পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন), সহকারী পুলিশ কমিশনার (চকবাজার জোন), বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেবদের সার্বিক তত্ত¡াবধানে এবং নির্দেশনায় বাকলিয়া থানার একটি চৌকষ টিম ঘটনাস্থল হতে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামীদের সনাক্ত করে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সহিত জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ শহিদ আলম লেদু (৩০) সহ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩০), মোঃ রায়হান (২৮), মোঃ গিয়াস উদ্দীন (২৯) দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার কালে আসামীদের নিকট হতে একটি কাঠের বাটযুক্ত দেশীয় তৈরি লোহার এলজি, ০২ টি স্টীলের তৈরী টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়।