যত্রতত্র প্লাস্টিক সামগ্রী ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলার চার নদীতে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একবার ব্যবহারযোগ্য ‘ওয়ানটাইম’ প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা অমান্য করে এসব ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের পর নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে নদী দূষিত হচ্ছে। আইন মানছেন না কেউ। প্লাস্টিক ফেলে নদী দূষণ বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিতলমারীর মরা চিত্রা, মধুমতি ও বলেশ্বর নদীতে একবার ব্যবহৃত (ওয়ানটাইম) প্লাস্টিকের থালা, গ্লাস, খাবারের প্যাকেটসহ নানা দ্রব্য ফেলা হয়। নদী থেকে ভেসে আসা কচুরিপানার ফাঁকে এই সব প্লাস্টিকের নানা জিনিস আটকে থাকছে। ফলে নদীস্রোতের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য ও চিতলমারী সদরের বাসিন্দা মোহন আলী বিশ্বাস বলেন, ওয়ানটাইম প্লাস্টিক ফেলায় নদীর দূষণ বাড়ছে। এই দূষণরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কচুয়া শাখার সভাপতি তুষার রায় রনি জানান, প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই আইন কেউ মানেন না। কচুয়া উপজেলা সদরের ভৈরব নদীর যেখানে খুশি সেখানে প্লাস্টিক আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা দরকার। পরিবেশ দূষণ রোধে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।