দুপুর অনুমান ৩ ঘটিকায় ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশনে নামে । লোকাল বাস যোগে ফ্রীপোর্ট এলাকায় আসে । তখনও শিশু জেমি অপহরণকারীর কোলে ছিল । তারা বাস হতে নেমে রাস্তা পার হয়ে কলসি দিঘির রোডে প্রবেশ করে । শিশু জেমীর নানি সামনে হাঁটতে থাকাকালীন অপহরণকারী পিছন দিয়ে শিশু জেমীকে নিয়ে দৌড় দেয় । শিশু জেমী অপহরণের বিষয়টি তার পিতা অবগত হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে।
বন্দর থানার মামলা নং- ১৩ তারিখ ২৩/০৯/২০২২,ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০( সংশোধন ২০০৩) এর ৭ ধারায় রুজু করা হয়। শিশু জেমীর অপহরণের সংবাদে তদন্তে নামে বন্দর থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম।ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপহরনকারী সনাক্ত এবং শিশু জেমীকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে বন্দর থানা পুলিশ। শিশু জেমীকে উদ্ধারের প্রচারণার জন্য মিডিয়া কর্মীদের স্মরনাপন্ন হয় বন্দর থানা পুলিশ।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে ২২ শে নভেম্বর ২০২২ খ্রিঃ অপহরণকারীকে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানাধীন বারইয়ারহাট এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় বন্দর থানা পুলিশের চৌকস টিম।
পরবর্তীতে অপহরণকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন সুমন এর তথ্য মতে, নিঃসন্তান নারী আমেনা আক্তার খালেদা এর লালন পালনে থাকা শিশু জেমিকে ফেনী জেলার ফেনী সদর থানা এলাকা হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে অপহরণকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন সুমন শিশু জেমীকে তার শালিকার মেয়ে পরিচয় দিয়ে নিঃসন্তান নারী আমেনা আক্তার খালেদা এর নিকট দত্তক দেওয়ার নাম করে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।
পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন এবং উদ্ধারকিত শিশু জেমীকে আদালতের মাধ্যমে তার অভিভাবকের হেফাজতে প্রদানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে ।