প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রামে পানির সংকট যাতে না হয় সে জন্য দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ভূমিকম্প ঝুঁকির এলাকা হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ও নির্ভরতা কমাতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সারাদেশের উন্নয়ন হবে। উন্নয়নের সাথে সাথে কর্ণফুলী ও হালদা নদী যেন দূষন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেদ হবে। দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকোশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকোনোমিক জোনসহ যে মেঘা প্রকল্প রয়েছে সেগুলোর জন্য পানির বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে চট্ট্রগামের বাইরে থেকে কিভাবে পানি আনা যায় সেজন্য চিন্তা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ ছাড়াও পানি শোধনাগার-১ ও শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতে ওয়াসার পানি সরবরাহে সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ কোটি লিটার। প্রায় ৪ হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয় এ প্রকল্প। এর মধ্যে জাইকা ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে।