পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের প্রতি জোরাল সমর্থন সত্ত্বেও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য পশ্চিমাদের যেসব পথ রয়েছে, সেগুলোও সম্ভবত সীমিত হয়ে আসছে। জি-৭ দেশগুলো গত শুক্রবার রাশিয়ার ওপর ‘নতুন কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ‘এরই মধ্যেই যে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে তা বাড়ানোর’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাশিয়াকে অর্থনৈতিক চাপে ফেলার হুমকি ইউক্রেনে হামলা শুরুর অনেক আগে থেকেই দিয়ে আসছে তারা। এখন আর তেমন কোনো কৌশল অবশিষ্ট নেই। ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা দিয়েছিল, সেগুলো তারা রেখেছে। তারা রাশিয়ার আর্থিক ব্যবস্থায় এবং ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে এবং আকাশসীমা ব্যবহারে রুশ বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশাপাশি বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে। বেশ কিছু পশ্চিমা কম্পানি রাশিয়া থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। তা-ও কিন্তু ইউক্রেনে হামলা বন্ধ হয়নি।
ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম টেইলর বলেন, ‘অনেক লোকের মতো আমিও ভেবেছিলাম, নিষেধাজ্ঞার হুমকি পুতিনকে থামানোর জন্য যথেষ্ট। কিন্তু তা হয়নি। কাজেই বাড়তি অবরোধে কাজ হবে কি না তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।