আধুনিকায়নের উদ্যোগ এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রবেশে টিকিটের প্রয়োজনের খবর শুনে পতেঙ্গা সি-বিচের দোকান মালিকরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। সৈকতের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের পুনর্বাসন না করে সিডিএ’র এ ধরনের উদ্যোগ চরম অমানবিক। গতকাল মঙ্গলবার পতেঙ্গা ফুলছড়ি পাড়া হাফেজ মোবারক আলী শাহ সরকারি প্রাথমিক হল রুমে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক পুনর্বাসন কমিটির আহ্বায়ক মোঃ ওয়াহিদুল আলম মাস্টারের সভাপতিত্তে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তরা বলেন,ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের ৩ মাসের মধ্যে পুনর্বাসনের কথা দিয়ে ৪ বছরে বাস্তবায়ন করেনি। এর মধ্যে মন্ত্রনালয় থেকে সি-বিচ ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বে-আইনি ও অমানবিক।ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে অনেক সহায় সম্পত্তি, ধানিজমি,গো-চারণ ভূমি, তরমুজ খেতের উপযোগী ভূমি হারিয়ে তিলতিল করে স্ব-উদ্যোগে পতেঙ্গা সি-বিচকে আজকের পর্যায়ে এনেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নজরের কারনে সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান এম এ ছালামের সুদক্ষ হাতের ছোঁয়ায় ও আন্তরিকতায় এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এম.জহিরুল আলম দোভাষের সুষ্ঠ পরিচালনায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সমাপ্তির পথে। কিন্তু দোকানিদের পুনর্বাসনের কাজও সিডিএ করেনি। পুনর্বাসন করার কোন আলামতও দেখছি না। ওয়াহিদুল আলম মাস্টার বলেন,পত্রিকায় দেখলাম সরকার সিডিএ কে সি-বিচ ইজারা দেওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্তা করে সাধারন জনগণকে প্রাকুতিক সৌন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত না করার স্বার্থে প্রবেশ ফি ও ইজারা সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।
পুনর্বাসন কমিটির সচিব মোঃ মাইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ জামাল উদ্দিন জহুর, মোঃ হোসেন, তাজ উদ্দিন, মোঃ ইলিয়াছ, শেখ আহম্মদ, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রহমান, মোঃ সহেল প্রমুখ।