রাত জেগে বাসা-বাড়ি, দোকান, মার্কেট কিংবা বিভিন্ন ভবনের নিরাপত্তায় পাহারা দেন তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাও কম নয়। এবার এসব নৈশপ্রহরীদের আরও সজাগ ও সচেতন করতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন থানায় চালু হয়েছে নৈশ বিদ্যালয়। যেখানে তাদের শেখানো হচ্ছে বিশেষ পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করে পুলিশের সহযোগিতা নেয়া যাবে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট নগরের ডবলমুরিং থানায় পুলিশের এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে প্রহরীদের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন রাত ১০টার পর শুরু হয় এই নৈশ বিদ্যালয়। থানায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ নৈশপ্রহরীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।এরপর ৬ আগস্ট কোতোয়ালি থানার আন্দরকিল্লা মোড়ে এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে অংশ নেন এলাকাটির আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা প্রহরীরা।সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যায়ক্রমে নগরের প্রত্যেক থানায় এ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রশিক্ষণের সময় প্রহরীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ও ডিউটি অফিসারের নম্বর দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কীভাবে যোগাযোগ করবে তা বলা হচ্ছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজেকে রক্ষা করে পুলিশকে কীভাবে অপরাধীর তথ্য দেবেন সে বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি তারাও ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘আমাদের পর তারাই তো নিরাপত্তা দেন এ নগরের। আমাদের চেয়ে তাদের সংখ্যাও বেশি। আমাদের মতো রাত জেগে তারাও নগর পাহারা দেন। তাদের আরেকটু সজাগ, আরেকটু সচেতন করতে পারলে আরও নিরাপদ হবে আমাদের শহর।নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জনসংযোগ আরফাতুল ইসলাম বলেন, আমরা নৈশপ্রহরীদের সচেতন করছি বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের কর্তব্য কী এবং তারা পুলিশকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারেন সে বিষয়ে। তারা পুলিশকে তথ্য দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভালো সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ইতোমধ্যে কয়েকটি থানায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কমিশনারের নির্দেশনায় নগরের প্রত্যেক থানায় এ কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।