একদিকে যেমন কমছে জমি তেমনি বাড়ছে ফসলি জমির মাটি বিক্রি। ফলে ফসলের উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অচিরেই ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশংকা করছেন শেরপুরের শ্রীবরদীর নাগরিকরা। বুধবার সরেজমিন গেলে মাটি বিক্রেতা -ক্রেতা আর ইটভাটার মালিকদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার যে কোনো সড়কে দেখা মিলবে যাতায়াত করছে মাটি বহনের গাড়ি। খোঁজ নিলে দেখা মিলবে এসব মাটি আসছে ফসলি জমি থেকে। ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির ওপর থেকে খুঁড়ে তোলা হচ্ছে ২ হতে ৩ ফুট মাটি। এসব মাটির স্তুপ করে জমানো হচ্ছে ইটভাটাগুলোতে। এতে চলে যাচ্ছে জমির মাটির টপ সয়েল। ফলে কমে যাচ্ছে জমির উর্বরতা। অনেক স্থানেই মাটি বহনের যানবাহনের অবাধ চলাচলে নষ্ট হচ্ছে কাঁচা ও আধাপাকা রাস্তা। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে আশপাশের ফসলি আর সবজির ক্ষেতসহ গাছপালার।
শ্রীবরদী উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে দুএকটি ইটভাটা সরকারি অনুমতি থাকলেও মেয়াদ উত্তীর্ণ অনেক আগেই। অন্যগুলোর নেই কোনো পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি। মানা হচ্ছেনা সরকারি নীতিমালা। ভূমি মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত ১৯৯২ সালের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ দণ্ডনীয় অপরাধ। এসবের কিছুই মানা হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, জমির ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি মাটিতে বেশি পুষ্টি থাকে। যা ফসল উৎপাদনে খুবই সহায়ক। কৃষকদের অভাবের সুযোগ নিয়ে ইটভাটার মালিকরা ফসলি জমি থেকে ২ থেকে ৩ ফুট মাটি নিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেতে এরও চেয়েও বেশি। এভাবে মাটি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে অচীরে শতশত একর জমি হবে পরিত্যক্ত। এর বিরুপ প্রভাব পড়বে ফসলি জমিসহ গাছপালায়।