গরু গৃহপালিত পশু । যুগ যুগ ধরে গরুর মাংস প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মিটিয়ে আসছে। প্রাচীন কালে মানুষ নিজেদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য গরু পালন করত। গরু পালন যে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এমন ধারণা ছিল না অনেকেরই। কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে গরু পালনে সফলতা লাভ করেছে। গরুর খামারও যে অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে তার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে রাজ এগ্রো ।
প্রতি বছর কোরবানী ঈদের আগে অনেককেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সঠিক গরুটি ক্রয় করতে গিয়ে । কারন হাজারো গরুর মাঝে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরন করা গরু চিনে ক্রয় করা কঠিন । সেই কঠিন কাজকে সহজ করে দিতে আপনার পাশে আছে রাজ এগ্রো । চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন মধ্যম শিকলবাহা কালারপুল গ্রামে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরন করা গরু নিশ্চিন্তে আপনি আপনার সাদ্ধের মধ্যে ক্রয় করিতে পারিবেন । খামারের গরুগুলোকে প্রতিদিন খাওয়ানো হচ্ছে খৈল,ভুষি,কুড়া,খেড়,ফিড ও তরতাজা কাঁচা ঘাস । আমরা খামারে গিয়ে দেখতে পাই গরুর মাথার উপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা, মশা মাছির উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য টাঙানো রয়েছে মশারি।
খাবারের তালিকায় আছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য আর সার্বক্ষণিক চলছে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যা। ২৪ ঘণ্টা এমন পরিচর্যা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব খামারে বেড়ে ওঠা গরুগুলোও হয়ে উঠছে হৃষ্টপুষ্ট ও সুন্দর।
ঈদে নির্ভেজাল গরুর চাহিদা একটু বেশিই। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন ওষুধ এবং খড়, ভূষিসহ দেশীয় খাবার দিয়েই মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি হাতে নিয়েছেন রাজ এগ্রো ।
দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ ঈদে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী রাজ এগ্রোর কর্ণধার মইন মাশরুহ আহমেদ । তবে কোরবানি ঈদের আগে ভারত থেকে বাজারে পশু প্রবেশ করলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ।
ছোট বড় খামারের পাশাপাশি রাজ এগ্রো ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করে করছেন । নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট পরিহার করে ঘাষ খড়ের পাশাপাশি খৈইল, ভুষি, কুঁড়া, ফেন (ভাতের মাড়) খাদ্য হিসেবে খাওয়ানোর মাধ্যমে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু।
দেশীয় জাতের গরু লালন পালন করা হয়েছে খামারে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে এসব গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। দেশীয় গরুর চাহিদা থাকায় এরই মধ্যে খামার পরিদর্শনে আসছেন ক্রেতারা। খামার থেকেই গরু কিনে নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রেতা । নিজের কোরবানির গরু সংগ্রহ ও মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত গরু প্রদানের জন্যেই রাজ এগ্রোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকাবাসী ।
দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণ করা গরুগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক খামারেই বিক্রি হয়ে গেছে। বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এসব দেশি জাতের গরুর ।