এস এ বিপ্লব,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম শ্রেণির পটিয়া পৌরসভার নির্বাচন আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার)। আর এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে আছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের আইয়ুব বাবুল (নৌকা), বিএনপির নুরুল ইসলাম সওদাগর (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) শামসুল আলম মাস্টার ও ইসলামি ফ্রন্টের আলী হোসাইন (মোমবাতি)। তবে এবারের ভোটের মাঠে নেই জামায়াত। কিন্তু আলোচনায় ঠিকই রয়েছে দলটির ভোটব্যাংক।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পটিয়া পৌরসভায় জামায়াতের ভোট রয়েছে সাত-আট হাজারের মতো। গত পৌর নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত কোনো প্রার্থী না থাকলেও তাদের ভোটগুলো নিয়ে সব দলেই চলতো প্রতিযোগিতা।
এদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে হতে যাওয়া চতুর্থ দফার পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসা কোন পক্ষে যায়, তা নিয়ে চলছে আলোচনা সবখানেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস লক্ষ্য করা গেলেও জয়-পরাজয় নির্ধারণে যাদুর কাঠির ভূমিকায় থাকতে পারে জামায়াতের ভোটব্যাংক। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি— দুইপক্ষই আশাবাদী জামায়াতের ভোট তাদের পক্ষে আসবে।
বিএনপির প্রার্থী নরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, জামায়াত আমাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ। জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপি ও জামায়াত একসঙ্গেই আছে। পটিয়ায়ও আমরা এক সঙ্গেই পথ চলি। জামায়াত এবং তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোর ভোটও আমি পাব। আর আমার দলের নেতাকর্মীদের ভোট তো আছেই।
অন্যদিকে আ.লীগের প্রার্থী আইয়ুব বাবুল বলেন, আমি বিশ্বাস করি উন্নয়নের পক্ষে, নৌকার পক্ষেই সবাই ভোট দেবেন, ভালোবাসা দিবসে বীর পটিয়ার পৌরবাসী ভালোবাসায় জয় হবে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নৌকার।
অপরদিকে পটিয়া পৌর নির্বাচনের মাঠ ঘুরে জামায়াতের তৎপরতা দেখা যায়নি। উপজেলা জামায়াতের একাধিক নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, যেহেতু দলের মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থী নেই, তাই তাদের তেমন কোনো তৎপরতা নেই।
ভোটের দিন জামায়াতের ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের এক নেতা বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, অনেকেই যাবে। পৌরসভার ভোটে সাধারণত প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন এ সম্পর্কগুলো সামনে আসে। যদি কাউন্সিলরকে ভোট দিতে যান, তখন তারা মেয়র প্রার্থীর ভোট খালি রাখবেন না। তখন কাউকে না কাউকে ভোটটা দিয়ে আসবে।
উপজেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বলেন, আমরা ভোট করারই দল। যেহেতু এখন ভোটের কোনো পরিবেশ নাই তাই, আমরা ভোটের মাঠে নাই। আমরা যেহেতু ২০ দলীয় জোটে আছি। সেহেতু ২০ দলীয় জোটের প্রতি আমাদের একটা কমিটমেন্ট আছে। তবে ভোটের মাঠে ময়দানে মূলত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
উল্লেখ্য, এবারের পটিয়া পৌরসভার নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯২৫ জন, নারী ভোটার ১৮ হাজার ৮৬২ জন।