ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরন এই যে, বাদী জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড, কোম্পানীতে নিরাপত্তা পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত আছেন। ৩১/০১/২০২২ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় তিনি চট্টমেট্রো-ট-১১-০২১৮ পিকআপ গাড়ীর মাধ্যমে স্কট করিয়া জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড এর স্ক্র্যাপ বাকেট গাড়ী যাহার রেজিঃ নং-চট্ট-মেট্রো-ড-৮১-১১৯০,ও চট্ট-মেট্রো-ড ৬১-০২৫৯, চট্ট-মেট্রো-ড-৮১-২৭৩১,যোগে সদরঘাট ঘাট হইতে প্রতি ট্রাকে অনুমান ২০ টন করিয়া মোট ৬০ টন স্ক্র্যাপ লোহা লোড করিয়া বাদীর প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড সীতাকুন্ডের উদ্দেশ্যে রওনা করিয়া সদরঘাট থানাধীন স্টান্ড রোডস্থ নারিকেল তলা সংলগ্ন মা ফার্মেসীর সামনে রাস্তার উপর দুপুর অনুমান ১২ঃ০৫ ঘটিকার সময় পৌছালে অনুমান ১৫-৩০ বছর বয়সের অজ্ঞাতনামা ০৮/১০ জন আসামী তাহাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি,কিরিচ, চাপাতি দ্বারা গাড়ীর ড্রাইভারকে ভয় দেখাইয়া বাকেট গাড়ীর পিছনে উঠিয়া গাড়ী হইতে অনুমান ৪০০ কেজি স্ক্র্যাপ লোহা, মূল্য অনুমান ২০,০০০ টাকা নিয়া যাইতে থাকে। বাদী সংগীয় সিকউরিটি মোঃ আবু সুফিয়ান (২৪), মোহিনী কুমার চাকমা (৩৫)গণ উক্ত ঘটনা অজ্ঞাতনমা আসামীদেরকে বাধা প্রদান করলে তাহাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি,কিরিচ, চাপাতি দিয়ে তাদের ভয় দেখাইতে থাকে। একপর্যায়ে উক্ত আসামীদের মধ্যে হইতে অজ্ঞাতনামা ০২ জন আসামী সিকিউরিটি মোঃ সুফিয়ান (৪২) মোহিনী কুমার চাকমা (৩৫) দ্বয়কে ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ী কোপাইতে থাকে । উক্ত ছোরার আঘাতে সিকিউরিটি মোঃ আবু সুফিয়ান এর ডান পায়ের হাঁটুর উপরে গুরতর জখম হয়। এবং সিকিউরিটি মোহিনী কুমার চাকমা এর ডান পায়ের উরুর মধ্যে উপরে গুরতর জখম হয়। আসামীদের পরনে টি-শার্ট,শার্ট,টাউজার প্যান্ট,লুঙ্গি ছিল। তাহারা চট্টগ্রাম,কুমিল্লা,বরিশাল’সহ অঞ্চলের ভাষায় কথা বলতে শুনি। উক্ত ঘটনা দেখিয়া আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আমামিরা ঘটনাস্থল হইতে লুন্ঠিত ৪০০ কেজি স্ক্র্যাপ লোহা নিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মহোদয়ের সার্বিক তত্তাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ দক্ষিন মোহদয়ের নির্দেশনায় ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী জোন ) মহদয়ের সহযোগীতায়,অফিসার ইনচার্জ সদরঘাট থানায় নেতৃত্তে অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই /রনি তালুকদার,সংগীয় অফিসার এসআই/মোঃনুর হোসেন,এসআই/মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী,এসআই/সঞ্জয় শর্মা,এসআই কাজী এনামুল হক,এসআই/পুলক ভট্টাচার্য,এএসআই/মোঃ জানে আলম, এএসআই/মাধব মজুমদার, এএসআই/আমির হোসেন এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর) ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিন) দ্বয়ের সমন্বয়ে দুইটি টিম সদরঘাট থানা অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ তোরাব ফকির (২৮), নূর নবী সাকিব (২২), মোঃ রতুল (১৯),মোহাম্মদ ফারবেজ (২২), মোঃ শাকিল (১৯) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে লুন্ঠিত লোহা স্ক্র্যাপ লোহ সদরঘাট থানাধীন স্ট্যান্ড রোডস্থ বাংলাবাজার আমীর হোসেন দোভষ ইউসেফ স্কুলের পশ্চিম পাশে খালি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় ।