তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গণতন্ত্র, শান্তি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার এক মূর্ত প্রতীক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবতা, জনগণের ক্ষমতা এবং আর্থ-সামাজিক মুক্তির অগ্রদূত যা প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
আবিদা ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, এই প্রদর্শনী দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুপ্রতীম জনগণকে বঙ্গবন্ধু এবং তার রূপকল্প, আদর্শ ও পরম্পরা সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করবে।
কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে-মিন জং বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগণের গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তার অসামান্য অবদান ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না।
নিজ দেশের উপর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই তিনি জাতির পিতা হিসেবে অভিহিত হয়েছেন। এই তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগে কোরিয়া কালচার অ্যাসোসিয়েশনকে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা, সুশীল সমাজের সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র কোরিয়ান সংস্করণ উপহার দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস গত ১ জুলাই এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর কোরিয়ান সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপল’স হিরো’-এর কোরিয়ান সংস্করণসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর অন্যান্য প্রকাশনা প্রদর্শন এবং সেই সাথে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণও সম্প্রচার করা হয়।
প্রদর্শনীতে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীটি আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।