করো জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকীতে যে কোনো ধরনের আমল-ইবাদত করা যাবে কিনা? এ মর্মে দারুল উলুম দেওবন্দের কাছে এক প্রশ্ন আসে। তাতে উল্লেখ করা হয়-
কেউ যদি নিজের কিংবা স্ত্রী-সন্তানের জন্মদিন পালন করার জন্য অথবা বিবাহবার্ষিকী উদযাপনে ভালো কাজ তথা- গরিবদের খাদ্য বিরতণ, দান-সাদকা করা, নফল নামাজ, তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া, উপহার বিনিময় ইত্যাদি করে; ইসলামি শরিয়তে এসব ভালো কাজ কি বৈধ?
ভারতের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের অনলাইন ফতোয়া বিভাগে এ সম্পর্কে ফতোয়া দিয়েছেন। তাদের ফতোয়া অনুযায়ী, ইসলামি শরিয়তে এর কোনো স্থান নেই। কারণ জন্মদিন কিংবা বিবাহবার্ষিকী পালন পশ্চিমা তথা- ইয়াহুদি, খ্রিস্টানদের থেকে আসা প্রচলন।
ফতোয়ায় তারা উল্লেখ করেন, ‘হজরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামদের সন্তান জন্ম নিয়েছে। তাঁরা বিবাহও করেছেন। কিন্তু হাদিস কিংবা ইসলামের ইতিহাসের কোনো বর্ণনায় এমনটি পাওয়া যায় না যে, ‘তারা প্রতি বছর (তারিখ) আসলে বা অতিবাহিত হওয়ার সময়কালে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে কাঙিক্ষত দিন ও ক্ষণ উদযাপন (এ উপলক্ষে বিশেষ আমল-ইবাদত) করেছেন। কিংবা আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন।
এমনিতে গরীবকে খাওয়ানো, সাদকা দেওয়া, নফল নামাজ পড়া, তাওবাহ-ইসতেগফার করা এবং কাউকে উপহার দেওয়া ইত্যাদি সাওয়াবের কাজ। কিন্তু জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে নির্দিষ্ট দিনে এ কাজগুলো করতে হবে কেন?
বরং এসব ইবাদত বা ভালোকাজ এক/দুইদিন আগে বা পরে করা যেতে পারে যাতে পশ্চিমা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের রীতিনীতির অনুসরণ না হয়।