শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকার শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে মারা যান কবরী। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের সুতরাং ছবির মাধ্যমে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে নায়িকা হিসেবে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয়েছিলো।
গত ৫ই এপ্রিল করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে আটই এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।
এরপর অবস্থার আরও অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুক্রবার মধ্যরাতে মারা যান কবরী।
তাকে জোহর নামাজের পর জানাজা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মৃত্যুকালে কবরীর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। সিনেমায় অভিনয় ছাড়াও সিনেমা প্রযোজনা এবং পরিচালনার সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার।
২০০৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশে তার অবদান মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশের চলচ্চিত্রে কবরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৗতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।