চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবায় যোগ দেননি তারা।পরে দুপুর ১টার দিকে মানববন্ধন করেন চিকিৎসকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেডিক্যালের শান্ত পরিবেশ বিনষ্ট করতে একটি মহল কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার পরিকল্পিতভাবে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালানো হয়। শুধু তাই নয়, মেডিক্যালে বহিরাগতরা অবস্থান নিয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর করে এবং ছাত্রাবাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এতকিছুর পরও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
চমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. ওসমান গণি বলেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ও অধ্যক্ষ বরাবরে লিখিতভাবে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হন। এ ঘটনায় বুধবার কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এই ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো রকম সমাধান ছাড়াই তা শেষ হয়।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে চমেক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াসিম সাজ্জাদ রানার (৫৬তম এমবিবিএস) ওপর বহিরাগতরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহত অবস্থায় চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
একইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় চমেক হাসপাতাল গোল চত্বরের সামনে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইন্টার্ন চিকিৎসক হাবিবুর রহমানের (৫৭তম এমবিবিএস) ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।