চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগে দলীয় পদ পেতে হত্যা মামলার আসামীসহ বিতর্কিতরা মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন । দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আব্দুল মালেক জনির বড় ভাই। জনি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ও চার্জশিটভুক্ত আসামীরা যুবলীগে পদবি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান মামলার বাদি নিহতের বড় ভাই আব্দুক মাজেদ চৌধুরী, দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হত্যা মামলার আসামী যদি পদপদবি পায় তাহলে হত্যা মামলার বিচার কার্য বাঁধাগ্রস্ত হবে । চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আলোচিত আবদুল মালেক জনি হত্যা মামলার আসামীরা যুবলীগের পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এমন খবর পাওয়ার পর থেকে তারা শঙ্কায় রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান।
চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কয়েকজন হত্যামামলায় অভিযুক্ত একাধিক আসামি। এর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন পটিয়ার দুইজন ও বোয়ালখালীর একজন চার্জশিটভুক্ত আসামি। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন , ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন আবদুল মালেক জনি। এরপর টানা চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মারা যান। ৫ জানুয়ারি আবদুল মাজেদ চৌধুরী ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ১ নম্বর আসামী করা হয় পটিয়ার কুমুসপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু শাদাত মো. সায়েমকে। সায়েম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে সিভি জমা দিয়েছেন। একইভাবে সভাপতি পদ থেকে সিভি জমা দিয়েছেন মো. ফারুক। তিনি জনি হত্যা মামলায় ৮ নম্বর এজারভুক্ত আসামী। তবে তার নাম এজাহার থেকে বাদ দিয়েছেন। এছাড়া একই মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পটিয়ার মহিউদ্দিন মহি ও বোয়ালখালীর জাহেদুল ইসলাম।
হত্যা মামলার আসামিরা যদি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাহলে মামলার সুষ্ঠু বিচারিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে সংশয় প্রকাশ করছেন জনির পরিবার ও সহকর্মীরা। নিহতের ভাই বলেন, নয় বছর পেরিয়ে গেলেও ভাই হত্যার বিচার পাইনি এখনও। কাউকে কয়েক বার গ্রেফতার করা হলেও তারা জামিনে বের হয়ে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা এখন রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। যুবলীগের পদবি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শীর্ষ নেতাদের উচিত হবে যাদের বিরুদ্ধে খুনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তারা যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারে। সংবাদ সম্মেলনে নিহত জনির মা খালেসা বেগম ও ছোট ভাই উপস্থিত ছিলেন।