মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মা এবং দু’শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা তার দু’শিশু সন্তানকে হত্যার পর নিজে ফ্যানের সাথে শাড়ি পেছিয়ে আ ত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ধারনা পুলিশের। তবে কি কারণে বা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। নগরীর মুরাদপুর এলাকার মোহাম্মদপুরের উসমাইল কলোনীর এসএস ভবনের চতুর্থ তলার বাসিন্দা ছিলেন হারবাল ঔষধ ব্যবসায়ী সোহেল রানা। বৃহস্পতিবার রাতেই ঘরের দরজা আটকে দিয়ে ভেতরে ৭ বছরের কন্যা সন্তান জান্নাত আরা মুন এবং ৩ বছরের পুত্র সন্তান সানবাবুকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন স্ত্রী সুমিতা খাতুন। সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই আসে পুলিশ। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে। উপস্থিত হয়ে আলামত সংগ্রহ করে পিবিআই এবং সিআইডি। প্রথমে কন্যা সন্তানের হাতের রগ কেটে হত্যার পর অন্য শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সুমিতা খাতুন আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা পিবিআইয়ের। তবে এ ঘটনার সাথে স্বামী সোহেল রানার কোনো সম্পৃক্তা রয়েছে কি না তার’ও অনুসন্ধান করছে পুলিশ। আটকের পর পুলিশ সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।