চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত গৃহবধূর মৃত্যুর এক দিনের মাথায় সেই স্বামীও মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় উমর শরীফ নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি বলেন, পুলিশের পাহারায় হাসপাতালের আইসিইউতে উমর শরীফের চিকিৎসা চলছিল। আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান উমর শরীফের স্ত্রী পেয়ারু বেগম। ওই দম্পতি দুই মেয়েকে নিয়ে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের উকিলপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত রোববার সকালে উমর শরীফ বাসায় ঢুকে স্ত্রী পেয়ারুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ সময় মেয়েদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পেয়ারুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় পেয়ারু বেগমের ভাই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে উমর শরীফকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিবলু কুমার মজুমদার বলেন, গত রোববার সকালে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে উমর শরীফ চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকায় পালিয়ে যান। সারা দিন তিনি সেখানে গা ঢাকা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় বিষপান করে ও নিজেকে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে যান।
পেয়ারু বেগমের ভাই মফিজুর রহমান বলেন, ৯ বছর আগে উমর শরীফের সঙ্গে তাঁর বোনের বিয়ে হয়। চার বছর ধরে শরীফ কোনো কাজ করেন না। উল্টো তাঁর খরচ জোগাতেন তাঁর বোন পেয়ারু। সময়মতো টাকা দিতে না পারলে পেয়ারুকে মারধর করতেন। বাধ্য হয়ে চলতি মাসের ১৩ জুন শরীফকে তালাক দেন পেয়ারু। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত রোববার সকালে উকিলপাড়ার ভাড়া বাসায় পেয়ারুকে ছুরিকাঘাত করে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান শরীফ।পুলিশ পরিদর্শক সুমন বণিক বলেন, আসামি আত্মহত্যা করেছেন। তাই এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। স্বামী-স্ত্রীর কলহে তাঁদের দুটি মেয়ে এতিম হয়ে গেল।
Leave a Reply