দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। গত রোববার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা এ আহ্বান জানায় বলে আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, সভা মনে করে- খালেদা জিয়া দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের রজনীতিতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তাই তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারকে আন্তরিক হওয়া উচিত।
করোনায় মানুষের জীবন-জীবিকা দুটোই চরম হুমকিতে উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, করোনার ভারতীয় ধরন ডেল্টা দেশে তৃতীয় ডেউ নিয়ে এসেছে। কিন্তু সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতায় দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের নজর না থাকলেও দেশের খেটে খাওয়া মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরকারের টিকা সংগ্রহের রোডম্যাপ জানতে চেয়ে সভায় মনে করা হয়- টিকার অপ্রতুলতা মানুষের জীবনকে অনিশ্চিত করে ফেলেছে। শতকরা ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করতে হলেও ২৬ কোটি টিকা প্রয়োজন যার শতকরা ৩ ভাগ সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। নিজস্ব দলীয় ব্যক্তির মালিকানার কোম্পানিকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়ায় গোটা জাতি আজ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করে সভা জানায়- সম্প্রতি ভোজ্য তেলের দাম গত ৬ মাসে প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা (৩৩ শতাংশ) বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও কর্মহীন মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। বাণিজ্যমন্ত্রীর উক্তি, ‘দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই’ কোন মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে জানানো হয়।
এসময় সংগঠনের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি চলবে জানিয়ে সম্প্রতি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা ও হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদের মুক্তি দাবি জানানো হয়।
সভায় মহাসচিব ছাড়াও আরও অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।