ভুক্তভোগী ভিকটিম ০৫ বছর বয়সের এবং খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি এলাকায় তার মায়ের সাথে বসবাস করত। ভিকটিমের মা একজন শ্রমজীবী মহিলা, এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ০৯ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম আসামী আনু মিয়ার নাতনির সাথে খেলাধূলার করার জন্য আনু মিয়ার বাড়িতে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়িতে ফিরে না আসায় ভিকটিমের মা তার মেয়েকে কোথাও খুজে না পেয়ে দুপুর ১৪৪০ ঘটিকায় আনু মিয়ার বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় তার মেয়েকে আনু মিয়ার বাড়ি হতে অস্বাভাবিক অবস্থায় বের হতে দেখে। ভিকটিমের মা তার মেয়েকে এই অবস্থার কারন জিজ্ঞেসা করিলে তার মেয়ে জানায় আনু মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এবং অনেক ব্যথা দিয়েছে।
পরবতীতে ভিকটিমের মা তৎক্ষণাৎ আসামী আনু মিয়াকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং এই ধরণের ঘটনা আর কখনো করবে না বলে জানায় এবং উক্ত বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। ভিকটিমের মা বাড়িতে এসে বিষয়টি পরিবারের লোকজন এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ-আলোচনা করে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৪, তারিখ- ১১ মার্চ ২০২৩ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(১)।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার উক্ত মামলার আসামি আনু মিয়া আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানাধীন কালাপানি এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৬ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ ১৩০০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ আনু মিয়া, পিতা-মৃত আলী আশরাফ সাং- মুসলিম পাড়া, থানা-মানিক ছড়ি, জেলা-খাগড়াছড়িকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলায় পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।