মাদক সেবন নিয়ে চলা পারিবারিক কলহের জের ধরে দা ও খুন্তি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান স্বামী-স্ত্রী। একজন আরেকজনকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে দেখে সংঘর্ষ থামাতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে যান যুবতী শ্যালিকা। বেসামাল স্বামী-স্ত্রী দুজনের আঘাতের জখম হন সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা চালানো তরুণী। এতে রক্তাক্ত জখম হয়ে তিনজনেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বালুর মাঠ এলাকায় শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর হৃদয় বিদারক এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রোহিঙ্গারা হলেন, কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের ২-ইস্ট ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকের আলী হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৬) ও নুরুল ইসলামের শালিকা হালিমা খাতুন (২২)। দাম্পত্য জীবনে নুরুল ইসলাম-মরিয়ম দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।
তারা আরো জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও তর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী দা ও স্ত্রী খুন্তি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্বামী স্ত্রীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে আর স্ত্রীও পাল্টা আঘাত করে স্বামীকে। এটি জানতে পেরে বোন জামাই ও বোনকে থামাতে কোপাকুপির মাঝখানে দাঁড়ায় শ্যালিকা হালিমা। তারা দুজন হালিমাকেও বেপরোয়া আঘাত করে। এতে হালিমা জখম পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। এরপর একে একে সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে তিনজনকে ক্যাম্পে চলমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply