সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ রাসায়নিক বিস্ফোরণের ৫ দিনের মাথায় ডিপোর ভিতর থেকে আরো একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। এদিকে আজ ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরোও একজন। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৪৫ জন। হাসপাতালে জুড়ে এখনো শোকাহত স্বজনদের বুকফাটা কান্না আর আহাজারী।
ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল আর শোকাহত স্বজনদের হৃদয়বিদারক কান্না। মেডিকেলের আইসিইউতে জীবনের সাথে লাড়াই করে ৫ দিন পর অবশেষ মারা গেলেন জামালপুরের মাসুদ রানা। সন্ধ্যায় ডিপো থেকে আরো এক জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহত মাসুদ রানার সন্তানদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার দাবি তার স্ত্রী ও স্বজনের।
আহতদের অবস্থা অনেকটা ভালো আছে বললেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।
রাসায়নিক বিস্ফোরণে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
এদিকে সহায়তা ও ক্ষতিপূরণের আশায় জেলা প্রশাসনের সহায়তা কেন্দ্র ভিড় করছেন দগ্ধ রোগীর স্বজনা। হাসপতালজুড়ে স্বজনদের আতঙ্ক ও আহাজারি থাকলেও আবার কিছু মানুষ দাড়িয়েছে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে।
সীতাকুণ্ড ট্রাজেডিতে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৯ জনসহ মোট আহত ২শ’৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২৭ টি লাশ। নিখোঁজদের মধ্যে ২২ জনের দাবিদার হিসেবে ৪০ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়।