রবিবার (৩১জুলাই) কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত লাবণী পয়েন্টে দুপুর সাড়ে ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
কিন্তু পুরো সৈকত এলাকার ঝুপড়ি উচ্ছেদে আদালতের আদেশ থাকলেও সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়নি।
এক স্থানে উচ্ছেদ অন্যখানে অক্ষত রেখে অভিযান শেষ করা হয়েছে।
আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে অবৈধ ঝুপড়ি দোকানিদের দায়ের করা পাল্টা আদেশের কারণে সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান চালানো যায়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বাৎসরিক অনুমোদন নিয়ে ঝুপড়ি দোকানগুলো বসানো হয়। বাৎসরিক আট হাজার টাকা অনুমোদন ফি।
এক সময় দোকান নির্দিষ্ট করা হলেও কয়েক বছর ধরে গণহারে ঝুপড়ি দোকানের অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন।
ফলে সৈকতের একেবারে নিচে পর্যন্ত রাতারাতি দোকান বসেছে এসব অবৈধ ঝুপড়ি দোকান। সৈকতে লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত অন্তত হাজারো ঝুপড়ি দোকান রয়েছে। এসব ঝুপড়ি দোকানের কারণে সৈকতের সৌন্দর্য চরমভাবে বিনষ্ট ও পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ হলে সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল। কিন্তু বেশি সংখ্যক ঝুপড়ির স্থান সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান না হওয়ায় উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লাবণী পয়েন্টস্থ সৈকত ঝিনুক সমবায় সমিতির সভাপতি কাশেম আলী বলেন, লাবণী পয়েন্টে এসব লোক ঝুপড়ি দোকান করে তারা সবাই পেটে-ভাতে খাওয়া মানুষ। আদালতের আদেশকে আমরা যথাযথ সম্মান রেখে বলছি, তাদের যেন পুনর্বাসন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেছেন, সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীয় পয়েন্টসহ আশেপাশে সৈকতে গড়ে তোলা ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। ১ আগস্টের মধ্যে ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে বলেছেন আদালত। এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে ১০০টি ঝুপড়ি দেকান উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে সুগন্ধা পয়েন্টের ঝুপড়ি উচ্ছেদে পাল্টা আদেশ এনেছে ব্যবসায়ীরা। তাই সেখানে উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।