আটশ’ কোটি টাকার রপ্তানী পণ্য নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবতে বসা এমভি হাইয়ান সিটি নামের জাহাজটি থেকে ১০৫টি খালি কনটেইনার খালাস করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে লোড কনটেইনার খালাস এবং মেরামত শেষে জাহাজটি সমুদ্রে চলাচলের উপযোগি করে তোলার পর আবার রপ্তানী পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাবে।
এখন বেসরকারি কর্ণফুলী ড্রাইডক জেটিতে জাহাজটির কনটেইনার খালাস কাজ চলছে। চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে আসার নৌ-পথ আাঁকা বাঁকা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ভিয়েতনামের পতাকাবাহী জাহাজটি আবার সমস্যায় না পড়ার জন্য প্রাইভেট জেটিতে নোঙ্গর করানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক ও কর্ণফুলী ড্রাইডক জেটির অপারেশন ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ তকদির জানিয়েছেন,বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এমভি হাইয়ান সিটি জাহাজ থেকে ১০৫টি খালি কনটেইনার খালাস করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে লোড কনটেইনার খালাস শেষে জাহাজটি মেরামত করা হবে। এতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সমুদ্রে চলাচলের উপযোগি করে তোলার পর আবার রপ্তানী পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাবে জানিয়েছেন তারা।
২১ দিন আগে (১৪এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাবার পথে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় তেলবাহী ট্যাঙ্কার ওরিয়ন এক্সপ্রেস এর সঙ্গে সংঘর্ষে ভিয়েতনামের পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এতে হাইয়ান সিটি জাহাজ থেকে একটি খালি কনটেইনার সাগরে পড়ে যায়। জাহাজটিতে এক হাজার ৫৬টি রফতানি কনটেইনার ছিল। দুর্ঘটনায় উভয় জাহাজই আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর কনটেইনারবাহী জাহাজটির কার্গো হোল্ডে পানি ঢুকে যায়।এতে জাহাজটি সাগরে চলাচালের ভারসাম্য হারিয়ে ডুবে যাবার উপক্রম হয়। এরপর সেটিকে কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙ্গর করানো হয়। তবে তেলের ট্যাঙ্কারটি ওইদিনই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে।
বুধবার বন্দরের চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ সম্মিলিতভাবে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটিকে কর্ণফুলী ড্রাইডক জেটিতে নিয়ে আসে। প্রান্তিক মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এতে সহযোগিতা করেছে।
গতরাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত জাহাজটির ১০৫টি খালি কনটেইনার খালাস হয়েছে। জাহাজটিতে এখন খালাস কাজ অব্যাহত রয়েছে।