৫ জুলাই থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেএলআইএ তিনটি স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা-ই কাউন্টারগুলো পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে অভিবাসীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কর্মসূচিটি পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. ইসমাইল মোহাম্মদ।
৮ জুলাই ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দীর্ঘকাল অপেক্ষা করার পর অনুমতি ছাড়াই অভিবাসীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ জন অভিবাসী বিশেষ কাউন্টার সার্ভিস ব্যবহার করেছেন।
পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার আওতায় এ পর্যন্ত দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮৩ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৮ হাজার ১৯৪ জন দেশে যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। শ্রম পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় বৈধতা পেতে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৯ জন নিবন্ধন করেছেন।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের বিষয়ে সোমবার ৫ জুলাই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচক। জারি করা এ নির্দেশনায় ক্যাটাগরি এ থেকে বি-তে রাখা হয়েছে মালয়েশিয়াকে। বি ক্যাটাগরিতে থাকা দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে যেতে হলে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হবে।
করোনার যে কোনো একটি অথবা দুটি ডোজ টিকা নেয়া থাকলে তারা বাংলাদেশে যেতে পারবেন। তবে, তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিমানবন্দরে যাওয়ার পর যদি তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ধরা পড়ে, তাহলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং পরে সরকার নির্ধারিত স্থানে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
যারা টিকা নেননি, তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের সরকার নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর ব্যয়ও তাদেরই বহন করতে হবে। বিমানের বোর্ডিং দেওয়ার আগে হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোর মধ্যে থাকা, খাওয়াসহ একজনের প্রতিদিন সর্বনিম্ন ব্যয় তিন হাজার টাকা। সেই হিসেবে একজন যাত্রীকে যারা টিকা দেওয়া নেই গুনতে হবে ৪২ হাজার টাকা এবং সঙ্গে বিমান ভাড়া।
করোনা সংক্রমণে অধিক ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো চিহ্নিত করে সেসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসা-যাওয়ায় বিধিনিষেধ জারি করে বেবিচক। গেলো মে মাসে ঘোষিত সে তালিকায় ক্যাটাগরি এতে ছিলো মালয়েশিয়া।
এদিকে দেশে যাওয়ার জন্য টিকিট বুকিংয়ের সময় দূতাবাস থেকে ভ্রমণের অনুমতি লেটার দেয়া হত। এখন আর অনুমতি পত্র লাগবে না বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর, কন্স্যুলার জিএম রাসেল রানা।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন মালয়েশিয়াকে বি-ক্যাটাগরিতে নিয়ে যাওয়ায় এখন আর অনুমতির প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে প্রত্যেকটি এয়ার লাইন্স কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।