অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে জনগণকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনুন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সারা দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে লাগামহীন ও পাগলা ঘোড়ার ন্যায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। তার সাথে যুক্ত হলো ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। সরকার নির্বাচনের ইশতেহারে ১০ টাকা দরে চাউল খাওয়ানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তা আকাশ পাতাল ব্যবধান। গণপরিবহনে ভাড়াবৃদ্ধি জনগণের জন্য মরার উপর খরার ঘা হয়েছে। অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে জনগণকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনুন। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতির বক্তব্যে নগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম উপরোক্ত কথা বলেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী, নগর সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ আল-ইকবাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রিদওয়ানুল হক শামসী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, সংখ্যালঘু সম্পাদক মাওলানা রফিকুল আলম, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল করীম, যুব আন্দোলন নগর সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম শাহীন, শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ওয়াইজ হোসেন ভূঁইয়া, শ্রমিকনেতা ইব্রাহিম খলিল, ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, “নতুনভাবে ডিজেল- কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার পথ সুগম করেছে সরকার। বাজারে দলীয় সিন্ডিকেটে ভরে গেছে। তাদের কারসাজিতে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ নিয়ে সরকারের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। অনতিবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হতে পারে। তাই সকল সিন্ডিকেট এবং তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় জনবিস্ফোরণ হলে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। দাবি না মানলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি দেয়ারও হুমকি দেন নগর নেতারা। বিক্ষোভ সমাবেশ পরবর্তী বিশাল মিছিল আন্দরকিল্লা, লালদিঘী ও জেলাপরিষদসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম