অন্ধজনে আলো দেওয়ার চেয়ে বড় কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ২০ জেলার ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’-এর কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় এই সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা পর্যায়ক্রমে করে দেব। ইতোমধ্যে আরও ১১০টি ভিশন কমিউনিটি সেন্টার স্থাপনের বিষয়েও চিন্তা করছি। সে পদক্ষেপও আমরা নিচ্ছি। এজন্য মনে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে কর্মরত দুজন সিনিয়র নার্স উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীর যাবতীয় তথ্য প্রেরণ করেন এবং রোগীর সঙ্গে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তার সরকার চক্ষু রোগীদের যেমন চোখে ছানি পড়া, গ্লুকোমা বা ডায়াবেটিস, রেটিনোপ্যাথি বা শিশুর চোখে আঘাত জনিত চিকিৎসা, পাওয়ার চশমার ব্যবস্থাপনা সরকারিভাবে দেওয়ার উদ্যাগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আধুনিক চক্ষু সেবার আওতায় আসা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম এবং রেফারেল ব্যবস্থার বিষয়ে একটি ভিডিও তথ্যচিত্রও পরিবেশিত হয়।